কীভাবে জ্বর থেকে মুক্তি পাবেন

কন্টেন্ট

• পর্যায়ে
• পদ্ধতি 1 নিজেকে ভাল যত্ন নিন
• পদ্ধতি 2 খাওয়া এবং সঠিকভাবে পান করুন
• পদ্ধতি 3 ঘরোয়া প্রতিকারের চেষ্টা করুন
• পদ্ধতি 4 অন্তর্নিহিত কারণটির চিকিত্সা করুন

জ্বর নিজের মধ্যে কোনও রোগ নয়, বরং এটি আপনার শরীর একটি রোগের সাথে লড়াইয়ের লক্ষণ। সাধারণভাবে, আপনার জ্বরে সম্পূর্ণরূপে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয় কারণ এটি কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থাটির লড়াইকে বাধা দেয়। জ্বরের কারণের উপর নির্ভর করে আপনি এটিকে স্বাভাবিকভাবে যেতে দিতে পারেন বা অন্তর্নিহিত রোগের জন্য আপনার চিকিত্সা করা যেতে পারে। যদি জ্বর আপনাকে বিরক্ত করে তোলে বা আপনি খুব শক্তিশালী হয়ে উঠতে উদ্বিগ্ন হন তবে এটি কমানোর অনেক উপায় রয়েছে।

পর্যায়ে

পদ্ধতি 1 নিজেকে ভাল যত্ন নিন

1. 
   

   
   একটু নামাও। যদিও জ্বর লাগলে আপনি শীত অনুভব করতে পারেন তবে আপনার দেহের তাপমাত্রা আসলে বেশি এবং উষ্ণতর হওয়ার জন্য আপনার এটি হ্রাস করতে হবে। পাতলা পোশাক পরা এবং প্রয়োজনে কম্বল বা একটি পাতলা শীট দিয়ে নিজেকে coveringেকে আপনার দেহকে অতিরিক্ত তাপ ছাড়তে দিন।
   • আসলে, আপনার যখন জ্বর হয় তখন নিজেকে প্রচুর পুলওভার বা কম্বল দিয়ে coverেকে রাখা বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ এটি আপনার দেহের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে।

2. 
   

   
   অন্দর তাপমাত্রা একটি আরামদায়ক স্তরে সেট করুন। যদি অন্দরের তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে তবে আপনি আপনার দেহকে বাড়তি তাপ বাড়িয়ে তুলতে বাধা দেবেন। ঘরটি খুব শীতল না হওয়াতে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। শাওয়ারগুলি হ'ল তাপমাত্রা বাড়ানোর আপনার দেহের প্রাকৃতিক ব্যবস্থা, তাই আপনি যদি জ্বরটি এত শীতল হয়ে থাকেন যে আপনি কাঁপুন start
   • যদি ঘরে খুব গরম থাকে তবে একটি উইন্ডো খুলুন বা একটি ফ্যান চালু করুন।

3. 
   

   
   
   
   জল দিয়ে নিজেকে সতেজ করুন। আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমাতে আপনার ত্বককে আর্দ্র করুন, তবে খুব বেশি ঠান্ডা না হওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকুন। আপনার কপাল এবং অঙ্গগুলিতে একটি ভেজা তোয়ালে লাগান বা উষ্ণ জল দিয়ে আপনার শরীরকে ঘষুন। আপনার শরীর কাঁপুন এড়াতে জল সর্বদা হালকা হওয়া উচিত।
   • জ্বরযুক্ত বাচ্চাদের জন্য স্নানের স্পনজগুলি আদর্শ।
   • আপনি পড়তে পারেন যে ত্বকে 90 ডিগ্রি অ্যালকোহল প্রয়োগ করা জ্বরকে হ্রাস করতে পারে, তবে অ্যালকোহল আসলে ত্বকের মাধ্যমে শুষে নেওয়া যেতে পারে যা অ্যালকোহলে বিষক্রিয়া হতে পারে, তাই আপনার কেবল জল ব্যবহার করা উচিত !

4. 
   

   
   প্রেসক্রিপশনবিহীন ওষুধ গ্রহণ করুন। যদি আপনি আপনার জ্বর নিয়ে অস্বস্তি হন তবে আপনি ওভার-দ্য কাউন্টার ওষুধ খেতে পারেন যা জ্বর কম করে, যেমন প্যারাসিটামল বা লিবুপ্রোফেন। নির্দেশাবলী এবং ডোজ সঠিকভাবে অনুসরণ করতে ভুলবেন না।
   • প্রাপ্তবয়স্কদের জ্বর কমাতে লাসপিরিনও ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে আপনার বাচ্চাদের কখনই তা দেওয়া উচিত নয় কারণ এর ব্যবহারের সাথে রেয়ের সিনড্রোম নামক একটি মারাত্মক ব্যাধির সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে।
   • মনে রাখবেন যে এই ওষুধগুলি আপনাকে আরও ভাল বোধ করতে সহায়তা করতে পারে তবে তারা আপনার জ্বরের অন্তর্নিহিত কারণটিকে চিকিত্সা করবে না। আপনি যদি মনে করেন আপনার ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রয়েছে, তবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা এবং তিনি যে ওষুধগুলি নির্দিষ্ট করেন সেগুলি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

5. 
   

   
   
   
   আরাম করুন। আপনার শরীরকে আরও বেশি ঘুমিয়ে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় বিশ্রাম ব্যয় করে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করুন। এর অর্থ এই নয় যে আপনাকে দিনটি বিছানায় কাটাতে হবে, তবে নিজেকে পোড়াতে চেষ্টা করবে না।
   • বাড়িতে থাকা এবং কর্মস্থলে বা স্কুলে যাওয়া এড়ানো ভাল because কারণ আপনার বিশ্রামের প্রয়োজন এবং আপনি আপনার সহপাঠী বা সহকর্মীদের সংক্রামক ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত করতে চান না।

পদ্ধতি 2 খাওয়া এবং সঠিকভাবে পান করুন

1. 
   

   
   হাইড্রেটেড থাকুন। জ্বর আপনাকে সহজেই ডিহাইড্রেট করতে পারে, যার ফলে অনেকগুলি লক্ষণ দেখা দেয়। আপনি যদি আরও তরল পান করেন তবে আপনি ভাল বোধ করবেন এবং আপনার শরীরকে এই রোগের সাথে লড়াই করতে সহায়তা করবেন।
   • আপনার শরীরের যে পরিমাণ জল দরকার তা আপনার ওজন এবং ক্রিয়াকলাপের স্তর সহ অনেকগুলি কারণের উপর নির্ভর করে। বেশিরভাগ মানুষকে দিনে প্রায় 2 লিটার জল পান করতে হয়।
   • জল পছন্দ, তবে আপনি ফলের রস এবং শক্তি পানীয় পান করতে পারেন।

2. 
   

   
   ভাল খাবেন। পুষ্টিতে সমৃদ্ধ খাবার এবং হজমে সহজ খাবার আপনাকে শক্তি অর্জন এবং এই রোগকে পরাস্ত করতে সহায়তা করবে। প্রচুর ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন।
   • অলিভ অয়েল জাতীয় খাবারগুলি থেকে চর্বিযুক্ত প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
   • প্রাকৃতিকভাবে দইয়ের মতো প্রোবায়োটিকযুক্ত খাবারগুলি খেলে আপনি আপনার শরীরকে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করবেন।
   • আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং প্রদাহ কমাতে আপনি আপনার স্বাস্থ্য বা ভিটামিন সি এবং ওমেগা -3 এর জন্য মাল্টিভিটামিন পরিপূরক গ্রহণের চেষ্টা করতে পারেন। আপনার চিকিত্সকের সাথে এই প্রতিকারগুলি নিয়ে আলোচনা করার বিষয়ে নিশ্চিত হন, বিশেষত যদি আপনি ইতিমধ্যে ওষুধে থাকেন।

3. 
   

   
   একটি তরল ডায়েট চেষ্টা করুন। কেবল তরল খাবার গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই, তবে হাইড্রেট করতে এবং আপনার হজমে সহায়তা করার জন্য তরল খাবারগুলি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন। উদাহরণস্বরূপ আইসক্রিম এবং স্যুপ ব্যবহার করে দেখুন।

পদ্ধতি 3 ঘরোয়া প্রতিকারের চেষ্টা করুন

1. 
   

   
   ইনফিউশন পান করুন। এমন অনেক গাছ রয়েছে যা আপনার দেহের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে বলে মনে করা হয়। জলের মধ্যে সম্পূর্ণ উদ্ভিদগুলিকে মিশ্রিত করে বা গুঁড়ো শুকনো উদ্ভিদের মিশ্রিত করে দরকারী উপাদানগুলির সাথে ইনফিউশন কেনার চেষ্টা করুন বা আপনার নিজস্ব আধান তৈরি করার চেষ্টা করুন। এখানে কিছু গাছ রয়েছে যা জ্বর থেকে লড়াই করতে আপনাকে সহায়তা করতে পারে:
   • গ্রিন টি
   • বিড়ালের পাঞ্জা
   • রিশি মাশরুম
   • দুধ থিসল মেরি
   • landrographis

2. 
   

   
   হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার নিন। ফ্যাভারগুলির জন্য যাদের ড্যান্টিবায়োটিক বা চিকিত্সার যত্নের প্রয়োজন হয় না, আপনি হোমিওপ্যাথিক প্রতিকারের মাধ্যমে লক্ষণগুলি চিকিত্সার চেষ্টা করতে পারেন। যদিও এই প্রতিকারগুলি প্রাকৃতিক তবে আপনার ডাক্তারের সাথে এটি নিশ্চিত হওয়া উচিত যে আপনি সেগুলি নিরাপদে ব্যবহার করতে পারেন, বিশেষত যদি আপনি ইতিমধ্যে অন্যান্য ওষুধ খাচ্ছেন। নিম্ন জ্বরতে বিক্রি হওয়া কিছু প্রাকৃতিক উপাদান এখানে রয়েছে:
   • laconit
   • ল্যাপিস মেলিকিফা
   • বেলাডোনা
   • ব্রায়োনিয়া
   • ফের্রাম ফসফরিকাম um
   • gelsemium

3. 
   

   
   ভেজা মোজা ব্যবহার করে দেখুন। এটি প্রতিক্রিয়াজনক বলে মনে হতে পারে তবে আপনি যদি ভিজে মোজা নিয়ে বিছানায় যান তবে আপনার প্রতিরোধ ব্যবস্থাটি উদ্দীপিত করে আপনি আপনার শরীরের জ্বরে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারেন। সেরা ফলাফলের জন্য আপনার ভিজা মোজার উপরে আরও এক ঘন মোজা নিক্ষেপ করুন এবং প্রয়োজনে বেশ কয়েকটি রাত পুনরাবৃত্তি করুন।

পদ্ধতি 4 অন্তর্নিহিত কারণটির চিকিত্সা করুন

1. 
   

   
   লক্ষণগুলি পরীক্ষা করে দেখুন। জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়ার সর্বোত্তম উপায় নির্ধারণ করার জন্য, কারণটি জানা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে সমস্ত লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেছেন সেগুলি লিখে রাখুন। আপনার যদি এমন লক্ষণ থাকে যা সাধারণ ভাইরাসের উপস্থিতি যেমন গলা এবং কানের ব্যথা দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না, তবে ডাক্তারকে দেখুন।
   • যদি আপনি বিভ্রান্তি, চলন্ত বা শ্বাসকষ্ট, নীল ঠোঁট এবং নখের রঙ, খিঁচুনি, ঘাড়ে শক্ত হওয়া বা গুরুতর মাথাব্যথার মতো লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে অবিলম্বে চিকিত্সার যত্ন নিন।

2. 
   

   
   অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করুন। যদি আপনার ডাক্তার কোনও ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ, যেমন এনজিনা বা মূত্রনালীর সংক্রমণ সনাক্ত করে, তবে এটির জন্য তিনি অ্যান্টিবায়োটিকগুলি লিখে রাখবেন cribe আপনার ডাক্তারের নির্দেশ অনুসারে ওষুধ নিন এবং জ্বর এবং অন্যান্য লক্ষণগুলি কয়েক দিনের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যাবে।
   • ফ্লু বা সর্দি জাতীয় কোনও ভাইরাস থাকলে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করবেন না। এই ড্রাগগুলি ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর নয় effective

3. 
   

   
   জ্বর কখন খুব বেশি হয় জেনে নিন। জ্বর সাধারণত এমন একটি লক্ষণ নয় যা নিয়ে আপনার উদ্বেগ হওয়া উচিত, তবে এটি খুব বেশি বেড়ে যায় বা এটি যদি দীর্ঘায়িত হয় তবে এটি বিপজ্জনক হতে পারে। আপনি বা আপনার সন্তানের খুব বেশি জ্বর হয়েছে বলে আপনি চিন্তিত থাকলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে भेट করুন।
   • তিন মাসের কম বয়সী শিশুদের জন্য, যখন জ্বর 38 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ছাড়িয়ে যায় তখন একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন
   • তিন থেকে বারো মাসের মধ্যে বাচ্চাদের জন্য, যদি জ্বর 39 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড অতিক্রম করে তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন
   • বড় বাচ্চাদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, যদি জ্বর 40.6 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি হয় বা চিকিত্সার পরেও এটি দূরে না যায় তবে একজন ডাক্তারকে দেখুন।
   • দুই বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে জ্বর ৪৮ থেকে hours২ ঘন্টা বা 24 থেকে 48 ঘন্টাের বেশি স্থায়ী হলে আপনারও একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

4. 
   

   
   দীর্ঘস্থায়ী রোগের জন্য চিকিত্সা পান। জ্বর অটোইমিউন রোগ বা প্রদাহের কারণেও হতে পারে যেমন লুপাস, ভাসকুলাইটিস এবং আলসারেটিভ কোলাইটিস। এই জাতীয় জ্বরের চিকিত্সার সর্বোত্তম উপায় হ'ল চিকিত্সা স্থাপন এবং অন্তর্নিহিত কারণটি নিরাময়ের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা।
   • আপনার যদি দীর্ঘস্থায়ী চিকিত্সা হয় তবে প্রতিবার জ্বর হলে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
   • জ্বরও ক্যান্সারের মতো মারাত্মক অসুস্থতার প্রথম লক্ষণ হতে পারে, তাই যদি আপনার জ্বর না যায় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

5. 
   

   
   আপনার পরিবেশের কারণে জ্বরের ক্ষেত্রে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রচণ্ড উত্তাপের সংস্পর্শে আসার পরে যদি আপনার জ্বর হয়, তবে আপনি হাইপারথার্মিয়া বা হিট স্ট্রোকের শিকার হতে পারেন। এই ক্ষেত্রে, আপনার শরীরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শীতল করতে হবে।
   • হাইপারথার্মিয়া হ'ল দুর্বলতা, বিভ্রান্তি, মাথা ঘোরা এবং পরিবর্তিত মানসিক অবস্থার মতো অন্যান্য লক্ষণগুলির দ্বারাও প্রকাশ পায়।
   • হাইপারথার্মিয়া আক্রান্তদের সাধারণত হাসপাতালে চিকিত্সা করতে হয়, তাই আপনাকে অবিলম্বে জরুরি ঘরে যেতে হবে।
   • আপনি চিকিত্সার জন্য অপেক্ষা করার সময়, আপনার প্রয়োজন মতো কাপড়গুলি সরিয়ে, আপনার শরীরে ঠান্ডা জল লাগিয়ে, একটি শীতল, ভাল বায়ুযুক্ত জায়গায় যেতে বা প্রচুর তরল পান করে আপনি আপনার তাপমাত্রা হ্রাস করার চেষ্টা করতে পারেন। ঠান্ডা।